কুরআন বোঝার মূলনীতি: ১৩
মাসয়ালায়ে জাব্বারিয়্যত (مُهر جَبّارِيْة)।
-এই মূলনীতি দ্বারা মূলত, কুরআন কারীমের কিছু আয়াতের উপর উত্থাপিত আপত্তির জবাব দেয়া হয়। কয়েকটা আয়াত নমুনাস্বরূপ দেখতে পারি,
প্রথম আয়াত:
خَتَمَ اللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰ أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ ۖ
আল্লাহ তাদের অন্তরে ও তাদের কানে মোহর করে দিয়েছেন (বাকারা ৭)।
.
দ্বিতীয় আয়াত:
يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا ۚ
(এভাবে) আল্লাহ এ উদাহরণ দ্বারা বহু মানুষকে গোমরাহীতে লিপ্ত করেন এবং বহুজনকে হিদায়াত দান করেন (বাকারা২৬)।
.
তৃতীয় আয়াত:
يُضِلُّ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ ۚ
তিনি যাকে ইচ্ছা (তার জেদি আচরণের কারণে) বিভ্রান্তিতে নিক্ষেপ করেন এবং যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন (নাহল ৯৩)।
.
চতুর্থ আয়াত:
إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَٰكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَن يَشَاءُ ۚ
(হে রাসূল!) সত্যি কথা হল, আপনি নিজে যাকে ইচ্ছা করবেন তাকে হেদায়াতপ্রাপ্ত করতে পারবেন না; বরং আল্লাহ যাকে চান হেদায়াতপ্রাপ্ত করেন (কাসাস ৫৬)।
.
এ-ধরনের আয়াতগুলো দেখলে মনে হয়, মানুষ বেকসুর ও অক্ষম (মজবুর)। হেদায়াত গ্রহণ ও গোমরাহী বর্জনের ক্ষেত্রে তার ইচ্ছার কোনও মূল নেই। সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে পূর্ব-নির্ধারিত হয়ে আছে। কিছু লোক এমনটা মনেও করে। এদেরকে ‘জাবারিয়া’ বলা হয়। এরা মানুষকে অক্ষম (মাজবুর) মনে করে। সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত। নিজের কর্মে বান্দার কোনও হাত নেই।
কেউ কেউ এ ধরনের আয়াত দেখে, ‘তাকদীর’কেই অস্বীকার করে বসে। আয়াতগুলো দেখে তারা বোঝে, মানুষ যদি ‘মাজবুর’ হতো, তাহলে শরীয়ত পালনের বাধ্যবাধকতা তার থাকত না। কারণ, সবকিছু যখন আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত, তাহলে শরীয়তে বিধি-নিষেধের মূল্য কোনও মূল্যও নেই আর বান্দার শরীয়ত মানতে বাধ্য (মুকাল্লাফও) নয়। যেহেতু মুকাল্লাফ (শরীয়ত মানতে বাধ্য) নয়, তাই তার আযাব-গযবও নেই। এই চিন্তা থেকে তারা মানুষকে পরিপূর্ণ স্বাধীন ইচ্ছার অধিকারী (মুখতারে কুল) এবং তার নিজের সমস্ত কর্মের কর্তা (খালেকে আফ‘আল) আখ্যায়িত দেয়। এই দলকে বলা হয়, কদরিয়্যা।
.
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা উপরোক্ত দুই দলের মাঝামাঝি। তারা বিশ্বাস করে, আল্লাহ তা‘আলাই সমস্ত কর্মের স্রষ্টা। এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে মানুষকে ভালোকর্ম বা মন্দকর্ম বেছে নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এজন্য মানুষ মুখতারে কুলও নয়, খালেকে আফ‘আলও নয়।
.
.
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা উপরোক্ত দুই দলের মাঝামাঝি। তারা বিশ্বাস করে, আল্লাহ তা‘আলাই সমস্ত কর্মের স্রষ্টা। এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে মানুষকে ভালোকর্ম বা মন্দকর্ম বেছে নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এজন্য মানুষ মুখতারে কুলও নয়, খালেকে আফ‘আলও নয়।
.
মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে, তাকদীরের প্রকারগুলো একটু জেনে নেয়া যাক।
তাকদীর চার প্রকার,-------------------------------------
১: জ্ঞানগত তাকদীর (تقدير علمي)।
কোনও কিছু ঘটার আগে, সেই শুরু থেকেই তার জ্ঞান বা অবগতিমূলক তথ্য আল্লাহ কাছে আছে।
.
২: লিখিত তাকদীর (تقدير كتابي)।
সৃষ্টির সূচনারও আগে থেকে, প্রতিটি বস্তুর পরিণতি, লিখে রেখেছেন। যেমন অমুক জান্নাতি, অমুক জাহান্নামী।
.
৩: ইচ্ছামূলক তাকদীর (تقدير إرادي)।
মানুষ যে কাজই করুক, তার কাজের সাথে আল্লাহ ইচ্ছা (ইরাদা)-ও যুক্ত থাকে। আল্লাহ ‘ইরাদা’ না থাকলে, বান্দা কাজটা করতেই পারত না।
.
৪: সৃষ্টিগত তাকদীর (تقدير خلقي)।
আল্লাহ তা‘আলাই (ভালো বা মন্দ) প্রতিটি বস্তুর খালেক।
.
১: জ্ঞানগত তাকদীর (تقدير علمي)।
কোনও কিছু ঘটার আগে, সেই শুরু থেকেই তার জ্ঞান বা অবগতিমূলক তথ্য আল্লাহ কাছে আছে।
.
২: লিখিত তাকদীর (تقدير كتابي)।
সৃষ্টির সূচনারও আগে থেকে, প্রতিটি বস্তুর পরিণতি, লিখে রেখেছেন। যেমন অমুক জান্নাতি, অমুক জাহান্নামী।
.
৩: ইচ্ছামূলক তাকদীর (تقدير إرادي)।
মানুষ যে কাজই করুক, তার কাজের সাথে আল্লাহ ইচ্ছা (ইরাদা)-ও যুক্ত থাকে। আল্লাহ ‘ইরাদা’ না থাকলে, বান্দা কাজটা করতেই পারত না।
.
৪: সৃষ্টিগত তাকদীর (تقدير خلقي)।
আল্লাহ তা‘আলাই (ভালো বা মন্দ) প্রতিটি বস্তুর খালেক।
.
১: জাবারিয়্যা দলটি উপরোক্ত তাকদীরের প্রতিটি প্রকারকে মেনেই মানুষকে পরিপূর্ণ অক্ষম (مجبور محض) মনে করে।
২: কদরিয়্যারা শুধু তাকদীরের প্রথম প্রকার (تقدير علمي)-কে মেনে, বাকীগুলোকে অস্বীকার করে, মানুষকে মুখতারে কুল ও খালেকে আফ‘আল মনে করে।
৩: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত তাকদীরের সমস্ত প্রকারকে বিশ^াস করে বলে, মানুষ তার সমস্ত কর্মের ‘কাসেব’ (সম্পাদনকারী)। তবে ‘মাজবূরে মহদ’ নয়। আবার মুখতারে কুলও নয়।
.
এবার শুরুতে উত্থাপন করা অভিযোগের জবাবের দিকে নজর দেয়া যাক।
-আল্লাহ তা‘আলা আগে থেকেই কারো অন্তরে (কলবে) গোমরাহির (ভ্রষ্টতার) সীল (মোহর) মেরে দেন না।
চারটা স্তর পার হওয়ার পর গোমরাহীর সীল মারেন।
১: সন্দেহ (شك)। দাওয়ায়ে তাওহীদের সত্যতার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা।
২: ভ্রষ্টতা (ضلال/إضلال)। নিজেও ভ্রষ্ট হয় অন্যকেও ভ্রষ্ট করে।
৩: কূটতর্ক (مجادلة)। তাওহীদ গ্রহণ না করে, নবীর সাথে বা তাওহীদের দাওয়াত দানকারীর সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া।
৪: মোহরে জাব্বারিয়্যত (مهر جبارية)। উপরের তিনটা স্তর পার হয়ে গেলে, আল্লাহ তার অন্তরে সীল মেরে দেন যে, সে আর হেদায়াত পাবে না।
.
একলোক অসুস্থ্য। ডাক্তার তাকে বিণামূল্যে ওষুধ দিয়ে বলেছেন, ওষুধটা এখুনি সেবন করে নিন। নইলে রোগ আরো বেড়ে যাবে। লোকটার মনে সন্দেহের উদ্রেক হল। ওষুধটা সেবন করলে সত্যি সত্যি আরোগ্য লাভ করব? এটা প্রথম ধাপ সন্দেহ (شك)।
ডাক্তার আবারও জোর দিয়ে তাকে ওষুধটা সেবন করে নিতে বললেন। রুগী ডাক্তারের পরামর্শ মানতে সরাসরি অস্বীকার করে বসল। এটা দ্বিতীয় স্তর (ضلال/إضلال)।
ডাক্তার তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার জলদি ওষুধটা সেবন করে নিতে বললেন। রুগি এবার ডাক্তারের সাথে তর্ক শুরু করে দিল। এটা কূটতর্ক (مجادلة)।
ডাক্তার দেখলেন, ওষুধ খেতে বিলম্ব করার কারনে, বেচারার রোগ আরোগ্যাতীত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ কারণে, ডাক্তার লিখে দিয়েছেন, চিকিৎসাতীত।
.
কোনও সুস্থ্য বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এটা বলবে না, ডাক্তারের দোষেই রুগির চিকিৎসাতীত হয়েছে। সবাই রুগিকেই দুষবে।
.
১: সন্দেহ (شك)। দাওয়ায়ে তাওহীদের সত্যতার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা।
২: ভ্রষ্টতা (ضلال/إضلال)। নিজেও ভ্রষ্ট হয় অন্যকেও ভ্রষ্ট করে।
৩: কূটতর্ক (مجادلة)। তাওহীদ গ্রহণ না করে, নবীর সাথে বা তাওহীদের দাওয়াত দানকারীর সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া।
৪: মোহরে জাব্বারিয়্যত (مهر جبارية)। উপরের তিনটা স্তর পার হয়ে গেলে, আল্লাহ তার অন্তরে সীল মেরে দেন যে, সে আর হেদায়াত পাবে না।
.
একলোক অসুস্থ্য। ডাক্তার তাকে বিণামূল্যে ওষুধ দিয়ে বলেছেন, ওষুধটা এখুনি সেবন করে নিন। নইলে রোগ আরো বেড়ে যাবে। লোকটার মনে সন্দেহের উদ্রেক হল। ওষুধটা সেবন করলে সত্যি সত্যি আরোগ্য লাভ করব? এটা প্রথম ধাপ সন্দেহ (شك)।
ডাক্তার আবারও জোর দিয়ে তাকে ওষুধটা সেবন করে নিতে বললেন। রুগী ডাক্তারের পরামর্শ মানতে সরাসরি অস্বীকার করে বসল। এটা দ্বিতীয় স্তর (ضلال/إضلال)।
ডাক্তার তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার জলদি ওষুধটা সেবন করে নিতে বললেন। রুগি এবার ডাক্তারের সাথে তর্ক শুরু করে দিল। এটা কূটতর্ক (مجادلة)।
ডাক্তার দেখলেন, ওষুধ খেতে বিলম্ব করার কারনে, বেচারার রোগ আরোগ্যাতীত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ কারণে, ডাক্তার লিখে দিয়েছেন, চিকিৎসাতীত।
.
কোনও সুস্থ্য বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এটা বলবে না, ডাক্তারের দোষেই রুগির চিকিৎসাতীত হয়েছে। সবাই রুগিকেই দুষবে।
.
আম্বিয়ায়ে কেরামও যখন কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে কাফেরদেরকে দাওয়াত দেন, কাফেররা প্রথমে সন্দেহ করে। তারপর গোমরাহ (ভ্রষ্ট) হয়। তারপর নবীগনের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা তার অবস্থা দেখে আরোগ্যাতীত লিখে দেন,
خَتَمَ اللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰ أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ ۖ
আল্লাহ তাদের অন্তরে ও তাদের কানে মোহর করে দিয়েছেন (বাকারা ৭)।
.
রুগির হঠকারিতায় ডাক্তারকে যেমন দোষা যাবে না,
বান্দার হঠকারীতার কারণে গোমরাহীর চরম সীমায় পৌঁছে, কলবে সীল পড়ে যাওয়ায়, আল্লাহকে কেন (নাউযুবিল্লাহ) দোষা হবে? একটি আয়াতে উপরোক্ত চারটি স্তর একসাথে আছে,
وَلَقَدْ جَاءَكُمْ يُوسُفُ مِن قَبْلُ بِالْبَيِّنَاتِ فَمَا زِلْتُمْ فِي شَكٍّ مِّمَّا جَاءَكُم بِهِ ۖ حَتَّىٰ إِذَا هَلَكَ قُلْتُمْ لَن يَبْعَثَ اللَّهُ مِن بَعْدِهِ رَسُولًا ۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ مُّرْتَابٌ
বস্তুত এর আগে ইউসুফ তোমাদের কাছে এসেছিলেন উজ্জ্বল নিদর্শনাবলী নিয়ে। তখনও তোমরা তার নিয়ে আসা বিষয়ে সন্দেহে পতিত ছিলে। তারপর যখন তার ওফাত হয়ে গেল, তখন তোমরা বললে, তারপর আর আল্লাহ কোনও রাসূল পাঠাবেন না। এভাবেই আল্লাহ প্রত্যেক এমন ব্যক্তিকে পথভ্রষ্টতায় ফেলে রাখেন, যে হয় সীমালঙ্ঘনকারী সন্দিহান
(মু’মিন ৩৪)।
.
.
একটি দৃষ্টান্ত:---------------------
এক ব্যক্তি চুরি করেছে। স্বাক্ষী-সাবুদের ভিত্তিতে কাযি সাহেব চোরের হাত কাটার রায় দিলেন। রায় কার্যকর করা হল। কোনও বুদ্ধিমান মানুষ বলবে না,ক. কাযির রায়ের কারণেই লোকটা চুরি করতে বাধ্য হয়েছে।
খ. কাযির দোষেই বেচারার হাত কাটা পড়ল।
.
আল্লাহ তা‘আলা পূর্বাপর সমস্ত বিষয়ে, স্বীয় ‘আগাম ইলমের’ সাহায্যে, মোহরে জাব্বারিয়্যত লিখে দিয়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলার এই লেখা বান্দাকে গোমরাহ হতে বাধ্য করেনি। বান্দা গোমরাহ হবে বলেই আল্লাহ তা‘আলা লিখেছেন।
.
আল্লাহ তা‘আলা আর কাযির লেখার মধ্যে পার্থক্য হল, কাযি চুরি করার পরে রায় লিখেছেন, আল্লাহ তা‘আলা কুফরি করার আগেই ‘মোহরে জাব্বারিয়্যত’ লিখে রেখেছেন। কাযি পরে লেখার কারণ, কাযির কাছে পূর্বাপরের ইলম নেই। আগাম ইলম নেই। এজন্য চুরি সংঘটিত হওয়ার পরেই কাযি চুরির ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পেরেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহ তা‘আলা আগে থেকেই কাফের কী করবে সেটা জানতেন, সেই জানা অনুসারেই ‘মোহরে জাব্বারিয়্যত’ লিখে দিয়েছেন।
.
.
আল্লাহ তা‘আলা আর কাযির লেখার মধ্যে পার্থক্য হল, কাযি চুরি করার পরে রায় লিখেছেন, আল্লাহ তা‘আলা কুফরি করার আগেই ‘মোহরে জাব্বারিয়্যত’ লিখে রেখেছেন। কাযি পরে লেখার কারণ, কাযির কাছে পূর্বাপরের ইলম নেই। আগাম ইলম নেই। এজন্য চুরি সংঘটিত হওয়ার পরেই কাযি চুরির ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পেরেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহ তা‘আলা আগে থেকেই কাফের কী করবে সেটা জানতেন, সেই জানা অনুসারেই ‘মোহরে জাব্বারিয়্যত’ লিখে দিয়েছেন।
.
তাকদীরে ইরাদি (تقدير إرادي) আর তাকদীরে খালকি (تقدير خلقي) একটু অস্পষ্ট থেকে গেছে। একটা উদাহরণ পেশ করা যাক। উপরে গিয়ে দুই তাকদীরের পরিচয় আবার জেনে নিতে পারি।
.
বন কর্তৃপক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হল, বনের শেষ প্রান্তে নদী আছে। নদীর পাড়ে যাওয়া ভীষণ বিপদজনক। সেদিকে যেন কেউ না যায়। যাওয়ার চেষ্টাও না করা হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা আছে, নিষেধাজ্ঞা ঠেলে কেউ যেতে চাইলে, তাকে যেন যাওয়ার বন্দোবস্ত করে দেয়া হয়।
.
এমনি,আল্লাহ তা‘আলা সবকিছুর স্রষ্টা। ভালো মন্দ কিছুর। সর্বময় কর্তা (ফায়েলে মুখতার)। তাই বান্দা যখন জেনেশুনেও মন্দ কাজের দিকে পা বাড়ায়, তখন আল্লাহ তাকে বাধা দেন না। কারণ বান্দাকে ‘বাছাইয়ের’ এখতিয়ার দিয়েছেন। বন্দা যেটাই বেছে নেয়, আল্লাহ ইচ্ছা (এরাদা)-ও তার সাথে যুক্ত হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment