বুখারী শরীফের হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَنَسٍ: "كَانَ قِرَامٌ لِعَائِشَةَ سَتَرَتْ بِهِ جَانِبَ بَيْتِهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ-: «أَمِيطِي عَنَّا قِرَامَكِ هَذَا، فَإِنَّهُ لاَ تَزَالُ تَصَاوِيرُهُ تَعْرِضُ فِي صَلاَتِي» (رواه البخاري٣٧٤)
হযরত আনাস (রা,) থেকে বর্ণিত উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা সিদ্দীকা (রা.)-এর একটি চাদর ছিলো, যা দ্বারা তিনি নিজ ঘরের পার্শ্বদেশ ঢেকে রাখতেন। রাসূল সা. তাঁকে বললেন, হে আয়েশা! এটা আমার সামনে থেকে সরিয়ে ফেল। কেননা নামাযের মধ্যে এর ছবিগুলো আমার সামনে প্রদর্শিত হতে থাকে। (সহীহ বুখারী ৩৭৪)
ইমাম বুখারী রহ. হাদীসটি “ছবিযুক্ত ঘরে নামায পড়া মাকরূহ” অধ্যায়ে (২/৮৮১) উল্লেখ করেছেন।
আর আল্লামা আইনী রাহ. এর ব্যাখ্যায় বলেন-
قال العلامة بدر الدين العيني رحمه الله: هذاباب (باب كراهية الصلاةفي التصاوير)في بيان كراهية الصلاة في البيت الذي فيه الثياب التي فيها التصاوير فإذا كرهت في مثل هذا فكراهتها هو لابسها أقوى وأشد. (عمدة القاري شرح صحيح البخاري: 15/130)
ঘরে ছবিযুক্ত কাপড় ঝুলন্ত থাকার কারণেই যদি নামায মাকরূহ হয়, তাহলে ছবিযুক্ত কাপড় পরিধান করে নামায পড়লে শক্তিশালীভাবে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেই নামায মাকরূহ হবে। (উমদাতুল কারী: ১৫/১৩০)।
মোটকথা, কোন প্রাণীর ছবিযুক্ত কাপড় পরে নামায পড়লে ফরয আদায় হবে। তবে মাকরূহে তাহরীমী হবে। (রদ্দুল মুহতার: ২/৪১৭)
তবে হ্যা ছবিযুক্ত কাপড়
যদি উল্টিয়ে ফেলার কারণে ছবিটি আবৃত হয়ে থাকে, তাহলে এ জাতীয় পোশাকে নামায পড়া মাকরূহ হবে না।
(আল বাহরুর রায়েক: ২/৪৭)
তবে এমনিতেই ছবিযুক্ত কাপড় পরিধান করা জায়েয নয়৷
হাদীসের মধ্যে ছবির ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে৷
(আল্লাহ্ ভাল জানেন)
-------------------------------------------------------------------------
সন্তানদেরকে লালন-পালন করা, তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া, আদব-কায়দা শেখানো, সালাত আদায় করতে এবং সালাতের ব্যপারে যত্নবান হতে উতসাহিত করা, এমন বিষয়গুলো শিক্ষা দিতে হবে ইসলাম সম্মত উপায়ে।
আল্লাহ আমাদেরকে সফলতা দান করুন।আল্লাহ আমাদের নবী মুহা’ম্মাদ, তার পরিবার ও তার সাহাবীদের প্রতি শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুন।
#সম্পাদকের নোটঃ
সম্মানিত আলেমদের ফতোয়া হচ্ছে, হাতে অংকন করা প্রাণীর ছবি থাকায় এই কার্টুনগুলো, যদিও এইগুলো ‘ইসলামিক’ বলে দাবী করা হচ্ছে, তবুও এইগুলো দেখা বা ক্রয় করা হারাম। কারণ, হাতে ছবি অংকন করা সম্পূর্ণ হারাম ও কবীরা গুনাহ। প্রাণীর ছবি অংকন করা কবীরা গুনাহ ও চিত্র অংকনকারীদেরকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কিছু সহীহ হাদীস।
(১) সাঈদ ইবনে আবুল হাসান রাহি’মাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহুমার নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময়ে তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবু আব্বাস! আমি এমন ব্যক্তি যে, আমার জীবিকা হস্তশিল্পে। আমি এসব ছবি তৈরি করি।
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহু তাঁকে বলেন, (এ বিষয়) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে আমি যা বলতে শুনেছি, তাই তোমাকে শোনাব। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি কোন প্রাণীর ছবি অংকন করে আল্লাহ তা’আলা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ছবির মাঝে প্রাণ দিতে পারে। আর সেই ছবির মাঝে সে কখনোই প্রাণ দিতে পারবে না।”
(এ কথা শুনে) লোকটি ভীষণভাবে ভয় পেয়ে গেল এবং তার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। এতে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বললেন, “আক্ষেপ তোমার জন্য! তুমি যদি এ কাজ না-ই ছাড়তে পার, তবে এই গাছপালা এবং যে সকল জিনিসের প্রাণ নেই, তা অংকন করতে পার।”
সহীহ বুখারী, চতুর্থ খণ্ড, ২০৮৪, ইসলামী ফাউন্ডেশান
(২) মুসলিম রাহি’মাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (একবার) মাসরুকের সাথে ইয়াসার ইবনে নুমায়রের ঘরে ছিলাম। মাসরুক ইয়াসারের ঘরের আঙ্গিনায় কতগুলো মূর্তি দেখতে পেয়ে বললেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউ’দ রাদিয়াল্লাহু আ’নহুর কাছ থেকে শুনেছি এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন যে, “(কিয়ামতের দিন) মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি বানায়।”
সহীহ বুখারী, নবম খণ্ড, ৫৫২৬,
#কাফেরদের ধর্মীয় শিরকি-কুফুরী বিশ্বাস ও কাফেরদের চিহ্নকে কৌশলে মুসলিমদের মাঝে প্রচার করা।
যেমন ডরিমন কার্টুনে শিন্টো মূর্তি পূজারীদের ধর্মীয় বিশ্বাস তুলে ধরা হয়েছে, অথচ মুসলিম বাবা-মায়ের উদাসীনতা ও অজ্ঞতার কারণে ছোট ছোট বাচ্চারা এইগুলো দেখে বড় হচ্ছে।
একারণে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটি থেকে ডরিমন কার্টুন দেখা হারাম বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment