Tuesday, 14 November 2017

মহিলাদের চুল কতটুকু রাখা এবং কাটা জায়েজ এবং ভ্রু প্লাক করার বিধান ------

মহিলাদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হলঃ 

-------------------------------------------------------------------------

১. মহিলারা চুল লম্বা রাখবে। 

দলিল ------হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন (রাঃ) গণ চুল লম্বা রাখতেন।  ২, এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। দলিল- হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে। ৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না।  দলিল- কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। 


--অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নেই। 

তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরতবশতঃ কামানোরও অনুমতি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে চার আঙ্গুল পরিমাণ কাটা যাবে-এ কথা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়; বরং চুল বেশি বড় থাকলে যেমন কোমর সমান চুল থাকলে চার আঙ্গুলের বেশি পিঠের মাঝামাঝি করে কাটা জায়েয। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। 


উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল খাটো করতে পারবে। এর জন্য সময়েরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। 

আর কেউ নাজায়েয পরিমাণ কেটে ফেললে বা বিজাতীয় অনুকরণে চুল কেটে ছোট  করে ফেললে তাওবা ইস্তিগফার করতে হবে। 


[[[সহীহ বুখারী ২/৮৭৪; জামে তিরমিযী ১/১০৩; সহীহ মুসলিম ১/১৪৮; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৪৭২; 
আলমুফাসসাল ফী আহকামিল মারআতি ওয়াল বায়তিল মুসলিম ৩/৪০০; 
খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৭; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/২০৩;
 আলফাতাওয়াল মারআহ, শায়খ ইবনে বায পৃ. ১৬৫ আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪১৬]]].----------------

  ভ্রূ প্লাক করার ক্ষেত্রে মূলনীতি 

-------------------------------------------------

 আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত।

 তিনি বলেন, “আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যারা শরীরে উল্কি (ট্যাটু) অংকন করে এবং যারা করায়, এবং তাদের উপর (আল্লাহর অভিশাপ), যারা ভ্রু চেঁছে সরু (প্লাক) করে, যারা সৌন্দর্য মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।” জনৈক মহিলা এ ব্যাপারে তার (ইবনে মাসউদের) কথার প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, “আমি কি তাকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন এবং তা আল্লাহর কিতাবে আছে? আল্লাহ বলেছেন, “রাসুল যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহণ করো, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক।” (সুরা হাশরঃ ০৭) [সহীহ বুখারীঃ ৪৮৮৬] . 

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। “আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 

যে মহিলা পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে পরচুলা লাগাতে বলে, আর যে মহিলা অঙ্গ প্রত্যঙ্গে উল্কি অংকন করে ও অন্যকে উল্কি অংকণ করতে বলে, তাদেরকে অভিশাপ করেছেন।” [সহীহ বুখারীঃ ৫৯৩৭]


No comments:

Post a Comment