কিছু মানুষকে দেখা যায়, এত দ্রুত গতিতে তাসবীহগুলো পাঠ করেন, যেন মনে হয়- এ তাসবীহ গুলো দ্রুত পড়াই নিয়ম।
ফরয নামাযের শেষে তাসবীহ-তাহলীল পাঠের অনেক ফযীলত রয়েছে।
একটি হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন----------------------
مَنْ سَبَّحَ الله فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاةٍ ثَلاثاً وَثَلاثِينَ، وَحَمِدَ الله ثَلاثاً وَثَلاثِينَ، وَكَبَّرَ الله ثَلاثاً وَثَلاثِينَ، فَتِلْكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ، وَقَالَ تَمَامَ المِائَةِ: لا إلَهَ إلَّا الله وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الملْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَديرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ البَحْرِ.যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে। এ মিলে হয় মোট নিরানব্বই। আর শত পূর্ণ করবে এই বলে-لا إلَهَ إلَّا الله وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الملْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَديرٌ.তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনা বরাবর হয়।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৯৭
--------------------------------------
এত বড় ফযীলতের এই আমলটি আমরা অনেকেই করি। কিন্তু কিছু মানুষকে দেখা যায়, এত দ্রুত গতিতে তাসবীহগুলো পাঠ করেন, যেন মনে হয়- এ তাসবীহ গুলো দ্রুত পড়াই নিয়ম।
তাসবীহ দানা বা যারা আঙুলে গনে পড়েন তাদের তাসবীহ বা আঙুল এত দ্রুত নড়াচরা করে, যেন তারা তাসবীহ পড়ছেন না, বরং কারো সাথে পাল্লা দিয়ে তাসবীহের দানা গুনছেন বা আঙুল নাড়ছেন।
এটি একটি ভুল পদ্ধতি।
তাসবীহ স্পষ্ট উচ্চারণে ধীরে-সুস্থে সুন্দর করে পড়া উচিত। একটু চিন্তা করে দেখি, দ্রুত উচ্চারণের কারণে যেখানে আমি বলতে চাচ্ছি- ‘সুব্হা-নাল্ল-হ’, সেখানে হয়ে যাচ্ছে- ‘সুবানাল্লা’, যা অর্থহীন শব্দ।
আরো গভীরভাবে যদি চিন্তা করি- আমি কার তাসবীহ পাঠ করছি। মহান রাব্বুল আলামীনের। তো এভাবে তাঁর তাসবীহ পাঠ করা এক প্রকার বেআদবী নয় কি?
এর দ্বারা ফযীলতের স্থলে গুনাহ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
সুতরাং এ তাসবীহগুলোসহ সকল তাসবীহ-তাহলীল, তিলাওয়াত আমরা স্পষ্ট উচ্চারণে ধীরে-সুস্থে সুন্দর করে করব ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকল ভালো কাজ সহীহ তরীকায় করার তাওফিক দান করুন।
No comments:
Post a Comment