بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ইরশাদ করেছেন---
ইসলাম পাচটি খুটির উপর প্রতিষ্ঠিত -----------------------
ইসলাম পাচটি খুটির উপর প্রতিষ্ঠিত -----------------------
১,এই সাক্ষ্য দেয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নাই এবং হযরত মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
২,নামাজ কায়েম করা
২,নামাজ কায়েম করা
৩,যাকাত আদায় করা
৪, সামরথ বান ব্যক্তির হজ্জ করা
৫,, রমজান মাসে রোজা রাখা
৫,, রমজান মাসে রোজা রাখা
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন --
আমি মানুষ ও জীন জাতি কে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।
ঈমান গ্রহনের পর ইসলামের মৌলিক চার ফরজের অন্যতম ফরজ নামাজকে আখ্যায়িত করা হয়েছে ।
পবিত্র কোরানে ৮২বার নামাজের নিরদেশ দেয়া হয়েছে। নামাজ কে ঈমান ও কুফর তথা মুসলমান ও কাফেরের পার্থক্য কারী বলা হয়েছে।
উপরোন্তু একমাত্র নামাজের মাঝেই অন্য ফরজ সমূহ বিদ্যমান রয়েছে। নিন্মে তার কিছু আলোচনা করা হল ।।
=========
নামাজের মধ্যেই অন্যান্য সকল ফরজ ইবাদত বিদ্দমান -----------
নিন্মে সংক্ষিপ্ত অলোচনা করা হল ;---
**রোজার হাকিকত নামাজের মদ্ধে বিদ্দমান --
রোজার হাকিকত পানাহার সহ যাবতিয় পাপাচার বর্জন করা। এগুলু নামাজও বিনষ্টকারী রুপে গণ্য ।**ইতিকাফ ও নামাজে বিদ্যমান --
রোজার ইতিকাফে পানাহার,চলাফিরা , আরাম আয়েশ, ইত্তাদি মানবিক চাহিদার অনমতি আছে কিন্তু নামাজে এ সবই নিসাদ্ধ। এতে বুঝা যায় যে নামাজের ইতিকাফ রোজার ইতিকাফের চেয়েও পরিপূর্ন।**হজ্জও নামাজের অন্তরভূক্ত --
কেননা বায়তুল্লাহ ও হারাম শরীফের সম্মান হজ্জের মূল কথা। আর নামাজে বায়তুল্লাহর সন্মান এত বেশি যে কিবলা সামনে না রাখলে নামাজ ই হয় না।তাওয়াফের প্রাককালে বায়তুল্লাহকে সামনে রেখে হস্ত উত্তলন করা হয়। নামাজেও একিভাবে কিবলামুখি হয়ে হস্ত উত্তলের মাধ্যমে নামাজ শুরু করা হয়।
হজ্জের সময় সারাক্ষণ আল্লাহর স্মরণে ব্যাকুল থাকে ,, নামাজেও তাই।
হাজীগন প্রস্তর দ্বারা শয়তান কে আঘাত করেন আর নামাজি আউযুবিল্লাহ পড়ে শয়তানের ফিতনা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে সক্খম ।
হাজীগন বিদায়ী তাওয়াফের মাধ্যমে হজ্জ সমাপ্তি ঘোষনা করেন। নামাজিগন ও বিদায়ি সালামের মাধ্যমে নামাজ সমাপ্ত করেন।
***অন্য দিকে যাকাতও তার পুর্ন তাৎপর্য ও প্রকৃতি সহ নামাজ এর অঙ্গিভুত --
যাকাতের হকীকত হল আত্তশুদ্ধি অর্থাৎ পার্থিব ভালবাসা থেকে অন্তর কে পরিশুদ্ধ করা। সম্পদ জীবন ও জগতের প্রতি মোহ সৃস্টি করে তাই যাকাতের মাধ্যমে সম্পদ বিসর্জন দিয়ে অন্তর কে দুনিয়ার লোভ হতে পবিত্র করা হয়ে থাকে।তদ্রূপ নামাজের মূল কথা হল গায়রুল্লাহর মুহাব্বত থেকে অন্তর কে মুক্ত রাখা।
আর বায্যিক ভাবেও আল্লাহর পথে মাল খরচ করে যাকাত প্রদান করা হয়ে থাকে তদরূপ নামাজের জন্য ও আল্লাহর রাস্তায় কিছু খরচ করা হয়ে থাকে।
যেমন নামাজে ওযু আবশ্যক , ওযুর জন্য পানি কিনতে হয়।
নামাজের জন্য জায়গা তথা মসজিদ নির্মাণ ; লাইট ফ্যান ইত্যাদি র জন্যও টাকার প্রয়োজন,, পবিত্র কাপড়ের জন্যও টাকার প্রয়োজন।
অতএব বুঝাই যাচ্ছে নামাজেও যাকাতের বায্যিক রুপ বিদ্যমান .....আল্লাহর পথে ব্যয় " পদ্ধতি বিদ্যমান।।
-------------আল্লাহ্ তায়ালাব বানী----
--১.. সফল সেই ব্যাক্তি যে পবিত্রতা অর্জন করেছে,,
প্রতিপালকের স্মরণে এবং নামাজে মগ্ন থেকেছে।।
( সুরা-আলা ১৪,১৫ আয়াত)
২, এ মহা গ্রন্থ এমন যেখানে দ্বিধা-সংশয়ের কোন অবকাশ নেই । মুত্তাকিন তথা আল্লাভীরুদের জন্য পথ প্রদরশক । যারা গায়েব ও অদৃশ্যের উপর ঈমান রাখে , নামাজ আদায় করে, এবং আমি তাদের যা দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে,।।
( সুরাহ বাকারা- ১-৩ আয়াত)
No comments:
Post a Comment