1: কুরআন হাদীস সম্পর্কে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করলে, একজন মানুষকে আমরা সাধারণত আলিম বলি। এ-হিশেবে বর্তমানে অসংখ্য যোগ্য ব্যক্তি আছে।
তবে যোগ্যতা এক জিনিস, আদর্শ আরেক জিনিস।
২. উম্মাহর ইতিহাসে, কুরআন কারীমকে অনেক গভীরে গিয়ে ভালভাবে বুঝেছেন, এমন একজন হলেন, আল্লামা যামাখশারী রহ.। তিনি এতবড় আলিম কিন্তু আমাদের আদর্শ নন!
৩. উদাহরণ টানা যাক,
-বর্তমান বিশে^ শায়খ ইউসুফ কারদাবিকে অন্যতম বড় আলিম মনে করা হয়! কিন্তু সব বিষয়ে চোখ বন্ধ করে তাকে কি আদর্শ মানা যায়? যায় না!
৪. উপমহাদেশে মাওলানা তাকি উসমানি দা বা-কে অন্যতম বড় আলেম মনে করা হয়! কিন্তু ইসলামী ব্যাংকিং ও আরও কিছু প্রশ্নে ওনার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন, এমন অসংখ্য জাইয়্যেদ আলেম আছেন।
কেউ ইলমে আমলে তার সময়ের বাকি দশজনের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু তাই বলে তিনি আদর্শ হবেন, এমন নাও হতে পারে!
সব যোগ্য ব্যক্তিই আদর্শ নন! আবার অনেক আদর্শ হওয়ার মতো ব্যক্তিত্বও গভীর ইলমের অধিকারী নন! তবে যে বিষয়ে তাকে আদর্শ মানবো, সে একটা বিষয়ে তিনি পারদর্শী কি না, সেটা দেখা জরুরী! সেটা পাওয়া গেলেই হয়েছে।
=মোটকথা, ইলম আর আদর্শ সব সময় এক জায়গায় জমা হয়, বিষয়টা এমন নয়। যদি ইলম আদর্শ এক পাত্রে মিলে যায়, সোনায় সোহাগা!
Atik ullah
No comments:
Post a Comment